for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩ মে ২০১৬, মঙ্গলবার, ১৮:৫৬:৪১
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। আজ (মঙ্গলবার) হাফসেঞ্চুরি করেই সেই আফসোস ঘুচিয়েছেন তিনি। অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে মুশফিক ফিরেছেন দলের জয়কে সঙ্গী করে। লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে মোহামেডানের ৭ উইকেটের জয়ের মূল নায়ক অবশ্য মুশফিক নন। পারফরম্যান্সের দ্রুতিতে তার চেয়েও বেশি উজ্জ্বল ছিলেন দুজন। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা করেছেন ম্যাচ সর্বোচ্চ ৭১ রান। তার আগে রুপগঞ্জকে ২১২ রানে বেধে ফেলতে নাঈম ইসলাম জুনিয়র নিয়েছেন ৪ উইকেট।
সূচী অনুযায়ী ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল গতকাল (সোমবার)। কিন্তু আগের দিন রাতের বৃষ্টির কারণে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের মাঠ ভেজা থাকায় খেলা হয়নি। রিজার্ভ ডে’তে টস জিতে প্রথমে বোলিং নেন মোহামেডান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মুশফিকের এই সিদ্ধান্তকে প্রায় প্রশ্নের মুখেই ঠেলে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ রুপগঞ্জের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিক। উদ্বোধনী জুটিতে মিজানুর-জুনায়েদ ২৩ ওভারেই তুলে ফেলেন ১০৭ রান। বড় সংগ্রহের স্বপ্নই হয়তো দেখছিল রুপগঞ্জ। কিন্তু নাঈম ইসলাম জুনিয়র বোলিংয়ে আসতেই বদলে যায় ম্যাচের রঙ। বাঁ-হাতি স্পিনার নিজের প্রথম ওভারেই তৃতীয় বলেই এলবির ফাদে ফেলেন জুনায়েদকে(৩৯)। পরের ওভারেই ফেরান মিজানুর রহমানকে।
জুনিয়র উইকেট প্রাপ্তির উল্লাস করবে আর সিনিয়র শুধু করতালিই বাজাবে! সিনিয়র নাঈম ইসলামও (নাঈম ইসলাম) তাই গর্জে উঠেন বল হাতে। ঘুর্ণির মায়াজাল বিছিয়ে তিনিও মোহামেডানকে ভাসান ডাবল উইকেটের আনন্দে। ফিরিয়ে দেন সৌম্য সরকার (২০) ও মোহাম্মদ মিথুনকে (৯)। একটু পরই নাহিদুলের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন নাঈদ ইসলাম জুনিয়র। দুই নাঈমের ভেল্কিতে বিনা উইকেটে ১০৭ রানের দল থেকে রুপগঞ্জ মুহূর্তেই পরিণত হয় ৫ উইকেটে ১৫৩ রানের দলে। এরপর আর রুপগঞ্জের কেউ মাথা উচু করে দাড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২১২ রান করে অলআউট।
২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহামেডানের দুই ওপেনার সৈকত আলী ও এজাজ আহমেদ গড়েন ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি। এই দুজনের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে থারাঙ্গা-মুশফিকের ১০৬ রানের জুটিতে মোহামেডান পৌঁছে যায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। থারাঙ্গা ৭১ রান করে ফিরে গেলেও আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে মুশফিক বাকি পথটুকু পাড়ি দিয়েছেন অনায়সেই। শেষ দিকে অবশ্য মুশফিককে আড়াল করে আরিফুলই পালন করেছেন মূখ্য ভূমিকা। ৩ ছক্কা ১ চারে আরিফুলের ১৭ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে মোহামেডান এবারের প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় জয়টি পেয়ে যায় ৪৬ ওভারেই। ৪৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নাঈম ইসলাম জুনিয়র হয়েছেন ম্যাচসেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রুপগঞ্জ : ৪৯.৩ ওভারে ২১২ (মিজানুর ৬৩, জুনায়েদ ৩৯, মোশাররফ ২৪, সৌম্য ২০; নাঈম ইসলাম জুনিয়র ৪৮/৪, হাবিবুর রহমান ৩/২৬, নাঈম ইসলাম ৩৮/২, সুভাশিস ৩২/১)।
মোহামেডান : ৪৬ ওভারে ২১৫/৩ (থারাঙ্গা ৭১, মুশফিক ৫১*, সৈকত ৩৪, এজাজ ২৬, আরিফুল ২৪*; আসিফ ২৬/১, আবু হায়দার ২৮/১, মুরাদ ৪১/১)।
ফলঃ মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ নাঈম ইসলাম জুনিয়র।
For add
For add
For add
For add
for Add