for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬ জুন ২০১৬, সোমবার, ১৯:৫৬:৫৬
সবার আগে সুপার সিক্সে উঠেছে প্রাইম দোলেশ্বর। আজ (সোমবার) সেখানে তাদের সঙ্গী হয়েছে আবাহনীও। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে তামিম-সাকিবদের আবাহনী উঠে গেছে সুপার সিক্সে।
বিকেএসপিতে আবাহনীর জয়টা তামিম-সাকিবের যুগলবন্ধীতেই। প্রথমে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখান সাকিব আল হাসান। পরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক শতকে অধিনায়ক তামিম দলকে এনে দেন টানা চতুর্থ জয়। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে অধিনায়ক রাজিন সালেহর ৯৫ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ক্রিকেট কোচিং স্কুল করতে পারে মাত্র ২০৫ রান। জবাবে আবাহনী ১২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান করতেই আবার বৃষ্টি নামে। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর পুনরায় খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আবাহনীর নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত ৩৫ ওভারে ১৬৮ রান। তামিমের সেঞ্চুরি আর নাজমুল হোসেন শান্তর হাফসেঞ্চুরিতে চড়ে ২৬.৪ ওভারেই আবাহনী পৌঁছে যায় লক্ষ্যে।
প্রথমে দেখেশুনে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই চওড়া হয়েছে তামিমের ব্যাট। ৫৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা তামিম এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন ৮৩ বলে। মানে পরের ৫০ রান আসে ২৭ বলে। শেষ পর্যন্ত ৮৬ বলে ১০৫ রান করে ছিলেন অপরাজিত। চারটি ছক্কার সঙ্গে তামিমের ইনিংসটিতে ছিল ১১টি চারের মার। দলীয় ১০ রানের মাথায় ইউসুফ পাঠানের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-নাজমুল গড়েছেন ১৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। নাজমুল অপরাজিত ছিলেন ৭০ বলে ৫৩ রান করে।
এর আগে টস জয়ী ক্রিকেট কোচিং স্কুল দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার পিনাক ঘোষকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। ৪৬ রানে যেতে সাইফ এবং সালমানকেও হারিয়ে বসে ক্রিকেট কোচিং স্কুল। এরপর সাইফুদ্দিনের সঙ্গে অধিনায়ক রাজিন সালেহের ১২৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখছিল ক্রিকেট কোচিং স্কুল। কিন্তু ৩৬ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারানোও ২০৫ রান করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে। সাকিব নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাসকিন,আবুল হাসান দুটি করে।
এই জয়ে সঙ্গে পয়েন্ট তালিকায়ও প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আবাহনী। ১১ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ১৪ করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ক্রিকেট কোচিং স্কুল : ৫০ ওভারে ২০৫ (পিনাক ৪, রাজিন ৯৫, সাইফ ৯, সালমান ১৬, সাইফুদ্দিন ৫০, উত্তম ২, সাঈদ সরকার ১১, নাসুম ০, শাওন ১, নাজমুস সাকিব ১২*, মাইনুদ্দিন ০; তাসকিন ২২/২, আবুল হাসান ৩০/২, সাকিব ৩৫/৩, ইউসুফ ১৭/০, মোসাদ্দেক ৩৮/২, সাকলায়েন ২১/০, নাজমুল ৬/০, অমিত ৩৫/১)।
আবাহনী : ২৬.৪ ওভারে ১৭০/১ (তামিম ১০৫*, ইউসুফ ৮, নাজমুল ৫৩*; সাইফুদ্দিন ২২/০, নাজমুস ১৬/১, নাসুম ৩৪/০, সাইফ ৩৮/০, শাওন ২০/০, মাইনুদ্দিন ১৬/০, উত্তম ৭/০, সাঈদ ১৫/০)।
ফল : ডি/এল পদ্ধতিতে আবাহনী ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তামিম ইকবাল
For add
For add
For add
For add
for Add