for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ জুন ২০১৬, বুধবার, ২০:১৫:৪২
কাগজ-কলমের শক্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের চেয়ে অনেক এগিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। তারপরও সতর্ক হয়েই দলটির মুখোমুখি হয়েছিল ব্লুজরা। কারণ, প্রথম ম্যাচে আরেক শক্তিশালী দল চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল মুক্তিযোদ্ধা। বড় ব্যবধানে হারলে বাজবে বিদায়ের বাঁশি-এমন শঙ্কাও ভর করেছিল মারুফুল হকের দলকে। কিন্তু তারা মাঠ ছেড়েছে বড় জয় নিয়েই। আজ (বুধবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিকালের ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ৩-০ গোলে হারিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাকে। এ জয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা পৌছে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে। এ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনী বিদায় নিয়েছে ফেডারেশন কাপ থেকে। সব শিরোপা জয়ের ঘোষণা দেওয়া দলটি স্বাধীনতা কাপ জিতে কক্ষপথেই ছিল। কিন্তু ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল বন্দর নগরীর দলটি।
শুরু থেকেই গোছানো ফুটবল খেলা শেখ রাসেলকে আটকে রাখতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। ২৯ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশুর পাস থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার জে ইকাঙ্গা। আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে প্লেসিং শটে বল জলে পাঠান তিনি । ৩২ মিনিটে দর্শনীয় গোল উপহার দিয়েছে অল ব্লুজরা। বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার শাহেদুল আলম শাহেদের চমৎকার শট বাঁক খেয়ে আশ্রয় নেয় জালে। ৪৩ মিনিটে শেখ রাসেলের ইকাঙ্গার ক্রস প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফেরত আসলে ফিরতি বল জালে পাঠান পল এমিল। প্রথমাধেই তিন গোলে এগিয়ে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে চলে যায় মারুফুল হকের শিষ্যরা।
৫০ মিনিটে বক্সের কাছেই ফ্রি কিক পায় মুক্তিযোদ্ধা। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কোলো মুসার বাক খাওয়ানো শট ছিলো ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। ৫৫ মিনিটে আবারও কোলো মুসার জোড়ালো শট আটকে দেন এই গোলরক্ষক। এরপর বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিলো দু’দল তবে গোল পায়নি। ফলে ৩-০ গোলের জয়েই শেষ আট নিশ্চিত করে শেখ রাসেল।
For add
For add
For add
For add
for Add