for Add
মেজর চাকলাদার(অব.) : ২১ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার, ২১:২১:২৬
প্রিমিয়ার হকি লিগে আম্পায়ারদের সাথে প্রায়ই খেলোয়াড়দের ভুল বুঝাবুঝির কারণে বিদেশ থেকে আম্পায়ার আনতে হয়েছে খেলা পরিচালনার জন্য। দু’দল মাঠে নামলে হাততালি হয়, আম্পায়ারদের মাঠে প্রবেশের সময় কোনই হাততালি নেই। এরা হলেন বিয়ে বাড়ির কাজির মতন, থাকলে কারো চোখেই পরেনা, না থাকলে হুলস্থুল। আম্পায়ারদের বাঁশি বাজানো দেখতে কেউই মাঠে যায়না। তবে এরা ভুল করলেই এদের নিয়ে খেলোয়াড় কর্মকর্তা আর দর্শকদের মাতামাতি আর আহাজারি শুরু হয়ে যায়। হংকং, শ্রীলঙ্কা আর ওমানের আম্পায়াররা খেলার নিরিখে বাংলাদেশের ধারেকাছেও নেই। তবু বিদেশী বলে কথা। এদের সাথেও আমাদের নামীদামী খেলোয়াড়দের আচরণ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
এই বিদেশীদের মন্তব্য হল খেলোয়াড়রা সারাক্ষন আম্পায়ারদের সাথে কথা বলতে চাচ্ছে কেন? এতে খেলার শৃঙ্খলাতো নষ্ট হচ্ছেই, সৌন্দর্য্যও হানি হচ্ছে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আম্পায়ারদের সাথে এহেন তর্ক একটা ছোঁয়াছে রোগ হিসাবে উঠতি খেলোয়াড়দের মধ্যেও প্রভাব পরে। তারাও আম্পায়ারদের সাথে‘বাতচিতে’মজা পাচ্ছে। এটা দেশের হকির ভবিষ্যত কাঠামোর জন্য একটা দুষ্টক্ষত। এই মুহুর্তে হকি মাঠে দর্শক নেই। এত পত্র-পত্রিকা, অথচ তাতে এই মর্যাদাবান খেলাটার কোন প্রচার নেই। স্পন্সর সমস্যাতো রয়েছেই। হকি বাঁচাতে হলে এই অশনি সংকেত কে রুখতে হবেই। এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আম্পায়ারদের রিপোর্টে প্রতিফলিত হতে হবে মাঠের প্রকৃত চিত্র। ক্লাব কর্মকর্তাদের দৃঢ় হতে হবে, আর ফেডারেশনের হতে হবে কঠোর। হকির সুস্থ পরিবেশের জন্য এ দায়িত্বগুলো নিতে হবে। আপনি কি বলেন?
লেখক : জাতীয় হকি দলের সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও রক্তিমসংঘ হকি ক্লাবের সভাপতি।
For add
For add
For add
For add
for Add