for Add
বাসস : ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার, ০:৪২:১৮
সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পরাজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দলের মনোবলে চিড় ধরেছে। ম্যাচে মাত্র ৭৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। যার ফলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বনিন্ম সংগ্রহের ম্যাচে কিউইদের কাছে ৫২ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে এখন টাইগারদের ভরসা বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
মন্থর গতির উইকেটে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও ওই ম্যাচে তারুণ্য নির্ভর অনভিজ্ঞ কিউই দলটি বিষ্ময়করভাবে স্বাগতিকদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করেই খেলেছে। এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সফরকারী দল প্রমাণ করেছে যে তারা বেশ দ্রুতই উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। ম্যাচটি প্রায় জিতেই যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজুর রহমানের অসাধারণ দক্ষতার কারণে শেষ পর্যন্ত মাত্র চার রানে হারতে বাধ্য হয়েছিল কিউইরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের মাত্র ৬০ রানে আটকে দিয়ে ৭ উইকেটে জয়লাভ করা টাইগাররা তৃতীয় ম্যাচেও জয়ের জন্য ফেবারিট ছিল। এতে করে প্রথমবারের মত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-ঠোয়েন্টি ফর্মেটে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু যে ধারায় সফরকারী দল ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে তাতে এখন সিরিজ হারের ঝুঁকিতেই পড়ে গেছে স্বাগতিক দল।
তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলের প্রধান সমস্যা ছিল অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ফর্মহীনতা। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার রানের পাশাপাশি ৬০০ উইকেট শিকারীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব। আর মাত্র ২ ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারলেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির আসনে থাকা লাসিথ মালিঙ্গার ১০৭ উইকেটকে টপকে শীর্ষে বসবেন সাকিব। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন তিনি ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু সর্বশেষ ম্যাচে উইকেটের দেখাই পাননি টাইগার অল রাউন্ডার। ব্যাট হাতে কোন রান না পাওয়া সাকিব মিস করেছেন একটি ক্যাচও। অথচ দলকে সঠিক পথে ফেরাতে সাকিবের পারফরমেন্স এখন বেশি দরকার টাইগারদের।
এর আগে গত মাসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয় করা সিরিজেও সেরার পুরস্কারটি পেয়েছে সাকিব। খারাপ পারফর্মেন্সের পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর অতীত রেকর্ড রয়েছে সাকিবের। আর সেটিই আশা দেখাচ্ছে টাইগার শিবিরকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হেরে যাওয়ার নেপথ্যে ছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিং। ম্যাচে নির্ধারিত চার ওভারে ৫০ রান দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। যার মধ্যে এক ওভারেই সফরকারী ব্যাটসম্যান ড্যান ক্রিস্টিয়ান হাকিয়েছেন ৫টি ছক্কা।
এমন পারফর্মেন্সের কারণে সমালোচকরা যখন সাকিবের নিন্দায় সরব, তখনই পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান এই অলরাউন্ডার। চার ওভার বল করে ৯ রানের বিপরীতে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। এতেই মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায় অসি ইনিংস। আর বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
তাই শুধু মাইল ফলকে পৌঁছাতে নয়, এক ম্যাচ হাতে রেখে বাংলাদেশ দলের সিরিজ নিশ্চিত করার জন্যও আজ সাকিবের পারফর্মেন্স গুরুত্বপূর্ণ।
For add
For add
For add
For add
for Add