for Add
রা’আদ রহমান : ২ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার, ২০:৫০:২০
শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনালের প্রত্যাশায় গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬ এর মাসব্যাপী মহারণের সমাপ্তি আগামীকাল (রবিবা্র) কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। যে মহারণে মুখোমুখি হচ্ছে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ড আর ২০১২ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চিত দু’দলের ক্রিকেটাররাই।
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট ম্যাচ প্রিভিউ শুরু করেছে মজার এক তথ্য দিয়ে। টেস্ট ক্রিকেটের জন্ম ইংল্যান্ডে, সবচেয়ে অসাধারণ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ; ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্ম ইংল্যান্ডে, সবচেয়ে অসাধারণ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ; টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্মও হয়েছে ইংল্যাণ্ডে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে অসাধারণ খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা না থাকলেও ইংল্যান্ড অবশ্যই আগামীকাল এই বৃত্ত ভাঙ্গতে চাইবে। ছিনিয়ে নিতে চাইবে বিশ্বকাপ ট্রফি।
ফর্ম আর টেম্পারমেন্টের তুলনা করলে অবশ্য ক্যারিবিয়ান জলদস্যুরা একটু হলেও এগিয়ে থাকছে। সেমিফাইনালের অসম্ভব স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে ১৯২ রান টপকাতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে বাজির ঘোড়া ক্রিস গেইলকে হারিয়ে ফেলার পরও সিমন্স-চার্লসদের ব্যাটে চড়ে যেভাবে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভারতকে দুমড়ে মুচড়ে দিল তারা, তাতে তাদের বিরুদ্ধে অন্য দলের পক্ষে বাজি ধরার মানুষ কমই পাওয়ার কথা। ভাগ্যের অকুণ্ঠ সহায়তার কথা বাদ দিলেও নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো অনেক কঠিন। পাওয়ার হিটিংকে পুরোপুরি এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া দলটির ব্যাটিংয়ের অন্যতম দুই ভরসা ক্রিস গেইল এবং বড় ম্যাচের পারফর্মার মারলন স্যামুয়েলসের কাছ থেকে একটা বড় ইনিংস পাওনা রয়ে গেছে। এদিকে বল হাতে মিডিয়াম পেসাররা ক্রমেই হয়ে উঠেছেন ভয়ংকর, তাদের সামনে খাবি খেয়েছেন নামকরা ব্যাটসম্যানরাও। সবকিছু মিলিয়ে ফাইনালে ট্রফি তুলে ধরার আশা করতেন পারেন স্যামিরা।
তবে ইংল্যান্ডও কিন্তু কম যায় না। পুরো টুর্নামেন্টে বাকি দলগুলোকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে আসা নিউজিল্যান্ড বোধহয় ভাবতেও পারেনি, বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড কি ভয়ংকর রূপে অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। যে ইংলিশরা ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পন করেছিল, তারা যে এক বছরের মাথায় নিউজিল্যান্ডের মত দলকে এভাবে ১৭ বল হাতে রেখে সাত উইকেটে উড়িয়ে দেবে, কে ভেবেছিল? জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস, জশ বাটলার, ইয়ন মরগান সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। চোখ কচলে তাকাতে বাধ্য করছেন পৃথিবীকে। আর ডেভিড উইলি, ক্রিস জর্ডান, রশিদ আলীদের সমন্বয়ে ইংল্যান্ড বোলিং লাইনআপের কঞ্জুস কিপটে বোলিং থামিয়ে দিচ্ছে প্রতিপক্ষের দুর্দমনীয় ব্যাটিং লাইনআপকে অল্প রানেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দানবীয় ব্যাটিং লাইনআপের সাথে তাদের যে একটা অনবদ্য যুদ্ধ হবে, সে তো বোঝাই যাচ্ছে। ২০১০ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা হাতে তুলতে এঁদের উপর ভরসা করতেই পারেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গান।
সবকিছু মিলিয়ে ইডেন গার্ডেনে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় হতে যাওয়া আগামীকালের ফাইনাল পরিনত হয়েছে অসাধারণ এক দ্বৈরথে। ক্যারিবিয়ান সাগরের পাইরেটসদের সাথে ইংলিশ লায়নসদের এই মহারণে জিতবে কে, তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
For add
For add
For add
For add
for Add