for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০ জুন ২০১৬, সোমবার, ২০:১৫:২০
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে চলছিল ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটের খেলা। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন বিজেএমসি ও মুক্তিযোদ্ধার মধ্যেকার শেষ কোয়ার্টার ফাইনালটি গড়াচ্ছে অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু কে জানতো ম্যাচের সব নাটক জমেছিল শেষ মিনিটের জন্য। আর সে নাটকের প্রধান চরিত্রে মেহেদী হাসান তপু। জাতীয় দলের সাবেক এ ফরোয়ার্ডের শেষ মুহুর্তের গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠে যায় বিজেএমসি।
ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গী হয়েছে টিম বিজেএমসি। আগামী ২৩ জুন প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আরামবাগ-বিজেএমসি। ৬ মিনিটে একটা সুযোগ এসেছিল মুক্তিযোদ্ধার। কলো মুসার ব্যাকপাস রিসিভ করে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার মোবারক। কিন্তু বল সহজেই গ্রিপ করেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হিমেল। ১৮ মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসেছিল মুক্তিযোদ্ধার। ডান প্রান্ত থেকে নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার সিমনের শট বক্সে ক্লিয়ার করেন বিজেএমসির ডিফেন্ডাররা। ৪২ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধাকে সব থেকে বড় গোলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন বিজেএমসির গোলরক্ষক। বক্সের কাছেই ফ্রি কিক পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। বাঁ পায়ে জোরালো ফ্রি কিক করেছিলেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। কিন্তু বল ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেছেন হিমেল। ফলে প্রথমার্ধ গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে যায় দু’দল।
৮২ মিনিটে সুযোগ এসেছিল বিজেএমসিরও। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বিজেএমসির সৈকত মাহমুদের গড়ানো ক্রসে স্যামসন ইলিয়াসুর বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে আবারও শট নেন ইলিয়াসু। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার এক ডিফেন্ডারের গায়ে বল লেগে ফেরত আসে। ৮৯ মিনিটে কর্নার থেকে গোল পাওয়ার পর একটা সুযোগ এসেছিল মুক্তিযোদ্ধার। কর্নারের বল পোস্টের সামনে দিয়ে কেটে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে পা ছুঁতে পারলে গোল হতে পারতে। কিন্তু ব্যর্থ হন মুক্তিযোদ্ধার আহমেদ কলো মুসা। ইনজুরি টাইমে বিজেএমসির আব্দুল্লাহ আল পারভেজের কর্নারে মেহেদী হাসান তপুর হেডে বল জড়ায় জালে। আর এই গোলেই শেষ চার নিশ্চিত হয় বিজেএমসির।
For add
For add
For add
For add
for Add