for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ আগস্ট ২০১৬, সোমবার, ১২:২০:০৪
বেইজিং, লন্ডনের পর রিও। হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে অলিম্পিক গেমস ব্রাজিলে। আর মাত্র ৯/১০ সেকেন্ডের রাস্তায় দাপট দেখাতে এসেছেন উসাইন বোল্ট। দেখালেনও। জ্যামাইকান এ বজ্রবিদ্যুৎ আবারও প্রমান করলেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কেউ নেই। বাংলাদেশ সময় আজ (সোমবার) সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটে গেমসের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ইভেন্টে বোল্টকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন মার্কিন দৌড়বিদ গ্যাটলিন। কিন্তু পারেননি। হিটে বোল্টের চেয়ে ভালো টাইমিং করলেও সোনার লড়াইয়ে ঠিকই পেছনে পড়েছেন।
৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রিও অলিম্পিকে বোল্ট কেবল সোনাই জিতেননি, সৃষ্টি করেছেন নতুন ইতিহাস। টানা তিনটি অলিম্পিকে ১০০ মিটারে সোনা। এ গৌরবতো নেই আর কোনো অ্যাথলেটের। জ্যমাইমান গতিদানব এখন সবার উপরে। গ্যাটলিন রৌপ্য জিতেছেন ৯.৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে। ৯.৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন কানাডার দে গ্রাস।
দৌড়ের ‘স্টার্ট’ বোল্টের শক্তির জায়গা নয়—এত দিনে এটি জেনে গেছেন সবাই। রিওতেও দেখা গেল একই দৃশ্য। শুরুতে বোল্টের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাটলিন। শুধু কি এগোনো, প্রায় ৫০ মিটার পর্যন্ত তো মনে হচ্ছিল তৃতীয়বারে এসে অলিম্পিকে বোল্টকে হারিয়ে দেবেন গ্যাটলিন। কিন্তু শুরুটা ভালো না হলেও দৌড়ের শেষ ৫০ মিটারের গতিতে সবাইকে পেছনে ফেললেন বোল্ট।
চিত্রনাট্যটা এক রইল এবারও। ৫০ মিটারের পর থেকেই শুরু হলো বজ্রবিদ্যুতের চমক। বড় বড় ‘স্ট্রাইড’ ফেলে শুরু করলেন এগোনো। ৬০-৬৫ মিটার পর্যন্তও সমানে-সমান ছিলেন গ্যাটলিন। কিন্তু এরপর আর পাত্তা পেলেন না ধরণির দ্রুততম মানবের কাছে।
সেমি-ফাইনালে অনায়াসে দৌড়ে ৯.৮৬ সময় নিয়ে বোল্ট ফাইনালে ওঠায় বোঝা গিয়েছিল ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ফাইনালে ধীর শুরুর পর ৭০ মিটার পর্যন্ত পিছিয়ে ছিলেন। তবে বড় বড় পদক্ষেপে শেষ দিকে ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে সোনাজয়ী গ্যাটলিনকে ছাড়িয়ে যান বিশ্বের দ্রুততম মানব।
সেই ১২ বছর আগে জেতা অলিম্পিক খেতাবটা পুনরুদ্ধার করা আর সুযোগ পাচ্ছেন না ৩৪ বছর বয়সী গ্যাটলিন। ডোপিংয়ের অভিযোগ দুইবার নিষিদ্ধ থাকার পর ফিরে এসে এই বয়সেও বোল্টকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য তার; তা রিওর দর্শকরা যতই তাকে দুয়ো দিক।
২০০৮ সালে বেইজিং ও ২০১২ সালে লন্ডনে ১০০, ২০০ ও ৪*১০০ মিটার রিলেতে জয়ী বোল্টের অলিম্পিক সোনা হলো ৭টি। এই আসরে ২০০ আর ৪*১০০ মিটারের সোনা জিতলে হবে ঐতিহাসিক ‘ট্রিপল ট্রিপল’।
২০০৮ সালের অলিম্পিকে বিশ্বকে মোহিত করার পর অলিম্পিক আর অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়শিপের মতো বড় আসরে একবারই কেবল তার তিনটি ইভেন্টের কোনো একটিতে সোনা হাতছাড়া হয়েছে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার দেগুতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়শিপে ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছিলেন। এছাড়া গত চারটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তার ১১টি ইভেন্টের মধ্যে ১১টিতেই সেরা বোল্ট।
রিও দে জেনেইরোর এই আসর হতে যাচ্ছে ২৯ বছর বয়সী বোল্টের শেষ অলিম্পিক। গত ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, ২০১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর অবসর নেবেন তিনি। এর আগে রিওতে বাকি দুটো ইভেন্টে সোনা জিতে বোল্টের ইতিহাস গড়ার চেষ্টায় চোখ থাকবে পুরো বিশ্ববাসীর। বৃহস্পতিবার হবে ২০০ মিটার দৌড়ের ফাইনাল।
For add
For add
For add
For add
for Add