for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১২ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ২:০০:৪৩
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে ফেসবুকে লাইভ আড্ডায় ১০ মে রাতে মেতেছিলেন তিন সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার সুমন ও খালেদ মাহমুদ সুজন।
আড্ডায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক বিষয় উঠে আসে। ভালো-মন্দ, আনন্দ-দুঃখ সবকিছুই ছিলো সেই আড্ডায়। এরমধ্যে বাংলাদেশের পেসার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের উঠে আসার গল্প শোনান সুজন।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দলটি। বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনালে খেলার সুখস্মৃতি নিয়ে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে একজন বাঁহাতি পেসারের খোঁজে ছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কি হয়েছিলো সেদিন সেটি বলেছেন সুজন। ‘আমি তখন বিসিবির গেম ডেভলপম্যান্টের চেয়ারম্যান ছিলাম। হাথুরুসিংহে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোনো বাঁহাতি পেসার আছে কি-না। আমি বললাম যে দুই জন আছে। একজন আবু হায়দার রনি ও আরেকজন মুস্তাফিজ।
আমার কথা শুনে হাথুরু জানতে চান কে, কেমন বোলার, কার বিশেষত্ব কী? আমি বললাম রনি সুইং বোলার। আর মুস্তাফিজের বোলিংএ পেস আছে। সাথে ধারালো কাটারও আছে।
হাথুরুসিংহে আমাকে বললেন, ছেলেটাকে দেখাতে পারবে? আমি বললাম, অবশ্যই। মুস্তাফিজ তখন সাতক্ষিরাতে। আমি ফিজকে ফোন করে দ্রুত ঢাকায় আসতে বলি।
ঢাকায় এসে পরদিন নেটে বোলিং করলো। হাথুরুসিংহে তাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলো। এরপর বললেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে খেলবে মুস্তাফিজ। আর এভাবেই মুস্তাফিজের পথচলা শুরু হলো।’
২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-২০ ম্যাচে দলে সুযোগ পান মুস্তাফিজ। অভিষেকেই চমক দেখান তিনি। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ফিজ। পাকিস্তানের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি ও সাবেক দলনেতা মোহাম্মদ হাফিজ ছিলেন মুস্তাফিজের শিকার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি-২০তে আশানুরুপ পারফরমেন্সে পরের সিরিজে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে নিজে জাত চেনান ফিজ। প্রথম ওয়ানডেতে ৫টি, দ্বিতীয়টিতে ৬টি ও শেষটিতে ২টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এরপর থেকে বাংলাদেশ পেস অ্যাটাকের অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠেন মুস্তাফিজ।
For add
For add
For add
For add
for Add