for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৬ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার, ২২:৩১:৫১
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি বলেছেন,’ফিফা আমাদের যে বিভিন্ন ফান্ড দিচ্ছে তা অব্যাহত আছে। ফিফা থেকে কোনো ধরনের ফান্ড স্থগিত করা হয়নি।’
মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে আবদুস সালাম মুর্শেদীর ব্যবসায়িক অফিকে তাৎক্ষনিক ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন বাফুফের এই কর্মকর্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাফফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।
এর আগে দুপুরে আবদুস সালাম মুর্শেদী ও বাফুফের অন্যান্য কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল সভা করেছেন ফিফার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ওই সভাটি খুবই সুন্দর হয়েছে উল্লেখ করে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি বলেছেন,’এই সভায় ফিফা কর্মকর্তারা বাফুফের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’
তাহলে ফান্ড স্থগিত করে দেয়ার যে কথাগুলো ভাসছে বাতাসে? আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন,’অর্থ ছাড় হচ্ছে না বলে যে কথাগুলো শুনেছেন সে তথ্য সঠিক নয়।’
সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন,’১৫ দিন আগেও ফিফা থেকে আমরা একটা বরাদ্দ পেয়েছি।’ আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘ওই বরাদ্দের কাগজপত্রে আমি ৪ এপ্রিল স্বাক্ষরও করেছি।’
ফিফার সঙ্গে কি নিয়ে ভার্চুয়াল সভা হলো বাফুফের? ‘আজকে যে সভা হলো এমন সভা বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে আমাদের। আসলে বাফুফের আর্থিক সংক্রান্ত কার্যক্রমে আরো স্বচ্ছ্বতা, নিরপেক্ষতা ও জবািদিহিতা নিশ্চিকরণের লক্ষ্যে ফিফা থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পার্সেস, মেমেন্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে নীতি প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে ফিফার ফরোয়ার্ড প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে’-বলেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
সম্প্রতি বাফুফের ফিন্যান্স সংক্রান্ত কর্মকান্ডের যে প্রশংসা করেছে এএফসি সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন ফিফা কর্মকর্তারা । আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন,’আসলে আমাদের যে সিস্টেম ফলো করা উচিত কখনো কখনো সেটা হয় না, পারিনা। কারণ, কিছু কাজ তাৎক্ষণিকভাবে করতে হয়। আমরা এখন সব পেমেন্ট চেকে করে থাকি। কখনো কখনো এটার ব্যত্যয় ঘটে। তবে পরিমান কম। আমরা এক খাতের অর্থ অন্য খাতেও ব্যয় করি না।’
তাহলে ফান্ড বন্দের প্রশ্ন উঠেছে তা আসলে কি? ‘কোভিডের কারণে ফরোয়ার্ড প্রগ্রামগুলো হয়নি। ফিফাও জানিয়েছে, বাংলাদেশের মতো অনেক অ্যাসোসিয়েশন কোভিডের সময় কাজ করতে পারেনি। তাই বলে ফরোয়ার্ড প্রজেক্টগুলো ল্যাপস হয়ে যায়নি। কাজ শুরু আর শেষ না করলেতো ফান্ড ছাড় হবে না। করোনার কারণে আমরা সেটা নিতে পারিনি। অন্য কোনো ফান্ড স্থগিত হয়নি’-বলেছেন সালাম মুর্শেদী।
দুপুর দেড়টা থেকে এক ঘন্টা আলোচনা করেছেন ফিফা ও বাফুফে কর্মকর্তারা। পুরো সভাই ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ফাইনান্স সম্পর্কিত। সভায় ফিফার মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশন ডিপার্টমেন্ট, ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এবং কমপ্লেয়ান্স ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাফুফের ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় বাফুফের ফাইন্যান্স সম্পর্কিত কার্যক্রমে আরো স্বচ্ছ্বতা, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ফিফা’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাফুফের পক্ষ থেকেও বিষয়গুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে ফিফা কর্মকর্তাদের। যাতে চলমান কার্যক্রমকে আরো বেগবান করা যায় এবং যা ভবিষ্যতে ফিফা ফরোয়ার্ড প্রজেক্ট ফান্ড বাফুফের অনুকুলে ছাড়করণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
চলমান বিষয়াদি আগামী মে মাসের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে বাফুফের সাথে ওতোপ্রোতভাবে কাজ করবে ফিফা। প্রয়োজনে ফিফার কনস্যালটেন্ট সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাফুফেকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভার শেষ পর্যায়ে ফিফার কোভিড-১৯ ফান্ড দ্রুত ছাড় করতে বাফুফের পক্ষ হতে তাগাদা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিফা কর্তৃক বাফুফের অনুকুলে প্রদত্ত অপারেশনাল ফান্ড বিভিন্ন ইনস্টলমেন্টে বা মাসিক ভিত্তিতে প্রদানের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
For add
For add
For add
For add
for Add