for Add
ওয়েবসাইট : ১২ এপ্রিল ২০২১, সোমবার, ২৩:৫৪:৩২
বল হাতে জ্বলে উঠলেন জর্জ লিন্ডে ও লিজার্ড উইলিয়ামস। সঙ্গে বাকী বোলাররাও করলেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে পাকিস্তানের সংগ্রহটা নাগালেই রাখা গেল। এরপর বাকী কাজটা হেসেখেলেই শেষ করেন ব্যাটসম্যানরা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নিলেন ওপেনার এইডেন মার্করাম। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সহজ জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
জোহানেসবার্গে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ৩৬ বল বাকী থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। ফলে চার ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনল দলটি।
ডেভিড মিলার, কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডি, কুইন্টন ডি ককদের মতো এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলতে যাওয়ায় দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে স্বাগতিকদের। প্রথম ম্যাচেই দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই তরুণদের শক্তি টের পেল পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে বেশ সাবলীল ব্যাট করেছেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার জানেমান মালান ও মার্করাম। ৪৪ রানের জুটি উপহার দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এরপর অবশ্য ১৪ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মার্করামকে নিয়ে ৩০ রানের জুটিতে সে চাপ সামলে নেন অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন।
এরপর ৪ রানের ব্যবধানে ফের দুটি উইকেট তুলে আবারও প্রোটিয়া শিবিরে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন পাকিস্তানী বোলাররা। তবে লিন্ডেকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে আরও একটি জুটি গড়েন অধিনায়ক ক্লাসেন। গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি। ফলে ১৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন মার্করাম। ৩০ বলের ইনিংসটি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা দিয়ে সাজান এ ওপেনার। এছাড়া অধিনায়ক ক্লাসেন করেন হার না মানা ৩৬ রান। ২১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। শেষ দিকে ১০ বলে দুই ছক্কায় ২০ রানের ইনিংস খেলেন লিন্ডে।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ২৬ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান উসমান কাদির।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। বাঁহাতি স্পিনার জর্জ লিন্ডের করা ইনিংসের প্রথম ফিরে যান আগের ম্যাচ জয়ের নায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। আরেক ওপেনার শারজিল খানকেও ছাঁটাই করেন এ বাঁহাতি স্পিনার। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় সফরকারী দলটি।
তবে তৃতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। ৫৮ রানের জুটিতে প্রথামিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ জুটি ভাঙতে উইলিয়ামসের তোপে পড়ে নিয়মিত বিরতইতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। আর কোনো ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে না পারলে স্কোরবোর্ডে ১৪০ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ৫০ বলে এ রান করতে ৫টি চার মারেন তিনি। হাফিজ করেন ৩২ রান। ২৩ বলের ইনিংসটি ৬টি চারে সাজান ৪০ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। এছাড়া আর দুইজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান লিন্ডে। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান উইলিয়ামসও।
For add
For add
For add
For add
for Add